রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
এম এইচ ফাহাদ-বিশেষ প্রতিনিধিঃ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের নুর মদিনা হাফেজি মাদ্রাসা এতিমখানা ও জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের বিশেষ বরাদ্ধকৃত ২ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২২অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে শশিভূষণ থানার রসুলপুর ২নং ওয়ার্ড হাজিরোড এলাকার বাসিন্দা সেলিমের ঘর থেকে ৪০ বস্তার ১২শ কেজি এ চাল জব্দ করে।
সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসন কর্তৃক ওই মন্দির ও হাফেজি মাদ্রাসা এতিমখানায় বিশেষ বরাদ্ধের ২ মেট্রিক টন চাল দিলে মাদ্রাসা ও মন্দির কর্তৃপক্ষ টন প্রতি ৩০হাজার করে মোট ৬০হাজার টাকায় উপজেলা খাদ্য অফিসের নিরাপত্তা কর্মী সাজ্জাদের মাধ্যমে চালগুলো শশিভূষণের মুদি ও চাল ব্যবসায়ী বাবলুর কাছে পাইকারি মূল্যে বিক্রি করে।
এবিষয়ে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির কমিটির সম্পাদক গোপীনাথ ধোপী জানান, মন্দিরের সংস্কার কাজের উন্নয়নের জন্য তাদের ১মেট্রিক টন চাল সাজ্জাদের মাধ্যমে তারা বিক্রয় করে। তবে নুর মদিনা হাফেজি মাদ্রাসা ও এতিমখানার দায়িত্বে থাকা মাওলানা মাইনুদ্দিন কর্তৃক এতিমখানার চাল বিক্রি করার তথ্য পাওয়া গেলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এঘটনায় শশিভূষণ খাদ্য গুদামের রেজিষ্ট্রার খাতা তদন্ত করলে রেজিস্ট্রার খাতায় গুদাম থেকে চাল দেয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এঘটনায় ওই এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
স্থানীয়রা বলছেন, খাদ্য অধিদপ্তরের ‘বিলি আদেশ ডিও’তে ২১ অক্টোবর মন্দির ও মাদ্রাসা এতিমখানা কর্তৃপক্ষের চাল নেয়ার তথ্য থাকলেও গুদামের রেজিষ্ট্রেশন খাতায় কেনো তা উল্লেখ থাকবেনা।
এবিষয়ে দায়িত্বরত খাদ্য কর্মকর্তা (এলএসডি) কমোল গোপাল দে বলেন, জেলা প্রশাসন কর্তৃক বরাদ্ধের বিশেষ চাল শ্রমিক কর্তৃক সকলের কাছে না পৌছানোয় তা রেজিষ্ট্রেশন হয়নি। বিশেষ অন্যান্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ বরাদ্ধকৃত সকল চাল বিলি হলেই রেজিষ্ট্রেশন খাতায় তা উল্লেখ করা হবে।
এঘটনা প্রশঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ১২শ কেজি চাল (৪০বস্তা) জব্দ করা হয়েছে এবং বাকি ৮শ কেজি চাল উদ্ধার করা হবে। এবং যাদের চাল তারা বুঝে পেয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দির সংস্কার উন্নয়নে তাদের চাল বিক্রি করেছে বলে আমাকে জানান। তবে হাফেজি মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা মাওলানা মাইনুদ্দিনকে খুঁজে না পাওয়ায় পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হবে।